সূরা আল ফজর () - سورة الفجر
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ (٦)
আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,
الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ (۸)
যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি
وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ (۹)
এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।
فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ (۱۳)
অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন।
فَأَمَّا الْإِنْسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّهُ فَأَكْرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَكْرَمَنِ (۱۵)
মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন।
وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ (۱٦)
এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন।
وَلَا تَحَاضُّونَ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ (۱۸)
এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না।
وَتَأْكُلُونَ التُّرَاثَ أَكْلًا لَمًّا (۱۹)
এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল
كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا (۲۱)
এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে
وَجَاءَ رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا (۲۲)
এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন,
وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ ۚ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنْسَانُ وَأَنَّىٰ لَهُ الذِّكْرَىٰ (۲۳)
এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে?
يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي (۲٤)
সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম!
فَيَوْمَئِذٍ لَا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ (۲۵)
সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না।
ارْجِعِي إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَرْضِيَّةً (۲۸)
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।